কাকতাড়ুয়া SSC বাংলা ১ম পত্র Animated Lessons Shikho











>> YOUR LINK HERE: ___ http://youtube.com/watch?v=8UDXwvpcnj0

📚 জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে কোয়ার্টার ৩-এর ক্লাস! এই ফর্ম পূরণ করে জিতে নাও সারপ্রাইজ স্কলারশিপ 🤫 • 👉🏻 https://shikho.io/surprise_scholarship • ভর্তি হতে, App টি Download করো 😄 • App Link: http://shikho.io/ShikhboJitbo • আজকের পর্বে আমরা কাকতাড়ুয়া গল্পটি নিয়ে আলোচনা করবো। • আজকের পর্বে উপন্যাসের চরিত্রগুলো বিশ্লেষণ করা হবে। • প্রথমেই চলো, উপন্যাসে কোন কোন চরিত্র আছে তা দেখি। • প্রথম পর্বে, উপন্যাসের মূল চরিত্র বুধাকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছিলাম। এ পর্বে চরিত্রটি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। এছাড়া অন্যান্য চরিত্র যেমন - কুন্তি, শাহাবুদ্দিন ভাই, আলী ও মিঠু এবং আহাদ মুন্সী এদের সকলকে নিয়েও আজ জানবে। • এদের পাশাপাশি আরো কিছু চরিত্র রয়েছে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো- বুধার চাচি, ফুলকলি, নোলক বুয়া, হরিকাকু, হাবিব, মতিউর, রানী, মধু, ফজু চাচা, আতা ফুপু, রাজাকার কুদ্দুস। • প্রথমেই চলো বুধার পরিবার সম্পর্কে জানি। • প্রথম পর্বেই তুমি দেখেছিলে কলেররার কারণে এক রাতে বুধার পুরো পরিবার মারা যায়। বুধার পরিবারে ছিল মা-বাবাসহ তিন ভাই এবং এক বোন। • তোমার জ্ঞানমূলকে প্রশ্ন আসতে পারে বুধার কয় ভাই-বোন ছিলো, বা বুধার ছোট বোনের নাম কী, বা বয়স কত এভাবে। তাই তথ্য গুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখে নাও। • পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য ছিল তিনু। মেয়েটির বয়স ছিল দেড় বছর। তিনু বুধার কোলে উঠতো অনেক ভালোবাসতো। • তার আরও দুই ভাই-বোনের নাম ছিল শিলু ও তালেব। তাদের বয়স ছিল প্রায় এক। দুজনই একসাথে খেলাধুলা ও ঘুড়ে বেড়াতে ভালোবাসতো। • এছাড়া বুধার প্রায় সমান বয়সের একটি বোন ছিল। তার নাম ছিল বিনু। বিনুর চোখ ও হাসি দুটিই ছিল অনেক সুন্দর। • এবার চলো বুধার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করি। উপন্যাসটি ভালোভাবে পড়লেই বুঝতে পারবে বুধা ছিল প্রচুর সাহসী। তার উদাহরণ হিসেবে বলা যায় মাত্র ১০-১২ বছর বয়সে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা। এছাড়া সে ছিল প্রচুর পরিমাণে বুদ্ধিমান। যুদ্ধের সময় আহাদ মুন্সীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, রাজাকার কমান্ডারের ঘর পুড়িয়ে দেওয়া, পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পের বাঙ্কার উড়িয়ে দেওয়ার মধ্যেই তার বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়। • বুধা ছিল স্বাধীনচেতা বা স্বাধীনভাবে থাকায় বিশ্বাসী। এজন্য দেখা যায় তার চাচি তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেও সে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করে। এছাড়া মানুষের বিপদেও সে নিজের হাত বাড়িয়ে দিত। পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণের পর সবাই যখন গ্রাম থেকে চলে যাচ্ছিল, বুধা সেখানে সবাইকে সহযোগিতা করছিল। • পাশাপাশি লেখিকা সেলিনা হোসেনও তাঁর উপন্যাসের বর্ণনার মাধ্যমেও বুধার কিছু গুণের কথা উল্লেখ করেছে। কুন্তি ওকে অনেক ভালো মানুষ ভাবে, নোলক বুয়া ভাবে সাহসী, হরিকাকু ভাবে শক্তিশালী। এছাড়া সে ছিল বিশ্বাসী, পরোপকারী, সহৃদয়, বন্ধুত্বসুলভ। বুধার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। • এবার চলো আরেকটি বিষয়টি দেখি। বুধাকে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্নভাবে ডাকতো। গায়ের সবাই বুধাকে ডাকে কাকতাড়ুয়া, নোলক বুয়া ডাকে ছন্নছাড়া, হরিকাকু ডাকে মানিকরতন, জয়নাল চাচা তাকে ডাকে সোনাবাবা, হাশেম মিয়া বলেন খোকনবাবু, গায়ের যে বুড়ি গোবড় তুলতো সে তাকে ডাকে গোবররাজা। • এছাড়া শাহাবুদ্দিন তাকে মানিকরতন, মুক্তিযুদ্ধ বিভিন্নভাবে নামে ডাকতো। আলী ও মিঠু তার নাম দিয়েছিল জয় বাংলা। উপন্যাসের এই ছোট ছোট তথ্যগুলো কিন্তু দরকারী। • এবার চলো কুন্তি চরিত্রটি সম্পর্কে জানি। • কুন্তি হলো বুধার চাচাতো বোন। সে বুধাকে অনেক পছন্দ করতো। চাচার বাড়িতে থাকার সময় কুন্তি ছাড়া বুধার আর কারো সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল না, এমনকি বুধা যখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে তখন কুন্তি শুধু বুধাকে ঠেকাতে চেয়েছিল। এছাড়া কুন্তি বুধার বাবা-মায়ের কবরও সবসময় পরিষ্কার করে রাখতো। • আবার এসো আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র সম্বন্ধে জেনে নেই, যার নাম হচ্ছে শাহাবুদ্দিন। • শাহাবুদ্দিন পেশায় কোনো সেনাবাহিনী বা পুলিশের সাথে যুক্ত ছিল না। সে ছিল একজন আর্ট কলেজের ছাত্র। একই সাথে মুক্তিযুদ্ধের সময় সে একটি মুক্তিযোদ্ধাদের দলের কমান্ডার ছিল। আলী ও মিঠুর কাছ থেকে সে বুধার কথা শুনেছিল। • উপন্যাসে আরো দুজন মুক্তিযোদ্ধার চরিত্র দেখা যায়, যারা হলেন- আলী ও মিঠু। দুজনই বুধার গ্রামেরই দুজন যুবক। • গ্রামে আলীর একটি চায়ের দোকান ছিল। প্রতিজ্ঞা করে পাকিস্তানি সেনাদের এ দেশ থেকে না তাড়িয়ে সে আর দোকান তুলবে না। পরবর্তীতে সে যুদ্ধে চলে যায়। • অন্যদিকে মিঠু হলো গ্রামের আরেক যুবক মধুর বড় ভাই। মধু পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণে বাজারে পুড়ে মারা গিয়েছিল। মধুর দোকানেই বুধা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনেছিল। ভাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই মিঠু যুদ্ধে গিয়েছিল। • এছাড়া আরেকটি চরিত্রের দেখা পাওয়া যায় যার নাম হলো আহাদ মুন্সী। আহাদ মুন্সী ছিল একজন রাজাকার, বুধার গ্রামের শান্তিকমিটির চেয়্যারম্যান। তার ছেলের নাম মতিউর, যে পাকিস্তানি সেনাদের জন্য বাঙ্কার তৈরির দায়িত্ব নিয়েছিল। • আহাদ মুন্সি ছিল বেশ বড়লোক, পাকিস্তানি সেনারা যখন গ্রামে ক্যাম্প করে, সে তাদের সকল সুযোগ সুবিধা দিয়েছিল। বুধার সাথে দুইবার সাক্ষাতের মাধ্যেম বোঝা যায়, বুধা তাকে পছন্দ করতো না। • আজ এ পর্যন্তই। আজকের পর্বে এ উপন্যাসের মূল চরিত্রগুলোর বিশ্লেষণ দেখলে। চরিত্র বিশ্লেষণ সৃজনশীলের জন্য দরকারী। • আগামী পর্বে উপন্যাস থেকে দুটি সৃজনশীল প্রশ্ন ও এর উত্তর সম্বন্ধে ধারণা পাবে। সে পর্যন্ত ভালো থেকো। ধন্যবাদ।

#############################









Content Report
Youtor.org / YTube video Downloader © 2025

created by www.youtor.org